অনলাইনে টাকা কামানোর সহজ উপায় ২০২৪ | Best Way To Earn Money Online In Bangladesh 2024
অনলাইনে টাকা কামানোর সহজ উপায় ২০২৪ | Best Way To Earn Money Online In Bangladesh 2024 |
অনলাইনে টাকা কামানোর সহজ উপায় হয়তো আমাদের মধ্যে অনেকেই জানিনা। প্রত্যেকের ইচ্ছে থাকে অনলাইন থেকে সামান্য পরিমাণ হলেও অর্থ উপার্জন করার। কিন্তু আমরা যতটা ভেবে থাকি একদম ততটাও সোজা নয় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা। কিন্তু এটাও সত্য অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা খুবই সোজা।
যদি আপনার মনেও ইচ্ছা থাকে অনলাইন থেকে টাকা কামানোর সহজ উপায় সম্বন্ধে জানার তাহলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল। কারন আমরা আর্টিকেলটির মাঝে এমন কিছু উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি যা হয়তো এখন পর্যন্ত আপনাদের সঙ্গে কেউ শেয়ার করেনি। এবং এই উপায়গুলো জেনে গেলে আপনি সহজেই অনলাইন থেকে কামাই করতে পারবেন নিজের মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটার দিয়ে।
আরো পড়ুন:
- অনলাইনে টাকা আয়ের শেরা ৮ টি অ্যাপ
- অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২৪
- অনলাইনে টাকা আয় করার সহজ উপায়
- মাত্র ৩০ মিনিট গেম খেলে ৩০০ ( ৩০০ ৳ ) টাকার বেশি আয় করুন
- ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি
অনলাইনে টাকা কামানোর সহজ উপায়
২০২৪ সাল চলে এলো হয়তোবা ২০২৩ সাল থেকে অনেকেই চেষ্টা করেও এক বছরের পরিশ্রমের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারেনি। অনলাইনে টাকা কামানোর সহজ উপায় হল বর্তমান সময়ে ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা যেকোন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও তৈরি করা। এই সকল সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ভিডিও তৈরির জন্য ইনকাম করার সুযোগ দেই যেকোন ক্রিয়েটরকে প্রত্যেক মাসেই।
আরো পড়ুন: মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়
আপনি যদি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং তারপরে সেখান থেকে আপনি ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করার মাধ্যমে ডিজিটর আনতে পারলে ইনকাম করতে পারবে। কিন্তু এই প্রসেস অত্যন্ত কঠিন এবং সকলেই টাকা কামানোর সহজ উপায় হিসেবে ভিডিও তৈরি করাকে বেছে নিয়েছে।
কিন্তু বন্ধুরা যেহেতু সবাই একটা কাজই করছে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি তাই আমরা সেটি করব না। চাইলে আপনিও করতে পারেন। যদি আপনি ধৈর্যশীল মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করা অত্যন্ত সহজ হবে। কেননা youtube থেকে ইনকাম খুবই সোজা এবং ইউটিউবে যদি একবার ইনকাম করতে শুরু করেন তাহলে কখনোই আর বন্ধ হবে না।
ইউটিউবের শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইনকাম হয় না বরংচক বিজ্ঞাপন স্পনসরশীপ এবং এরকম বেশ কয়েকটি মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয়ের সুযোগ রয়েছে। সুতরাং বলতে পারেন বর্তমান সময়ের সবচাইতে সেরা ইনকামের উপায় হল ইউটিউব।
আরো পড়ুন: লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট
যেহেতু বর্তমানে অনেক সুযোগ রয়েছে অনলাইন থেকে টাকা কামানোর এছাড়াও আশেপাশের অনেকেই টাকা কামাই করছে তাই আপনিও চাইলে অনলাইনে টাকা কামাতে পারেন। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন বন্ধু আপনি যদি টাকা ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে নিশ্চয়ই। তাহলে চলুন আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা এমন কিছু অনলাইনে টাকা কামানোর সহজ উপায় ২০২৪ সম্পর্কে জানাবো যেগুলো শুনলে আপনি সত্যি অবাক হবেন। এবং যদি আমার প্রসেস গুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি কয়েক বছর কিংবা কয়েক মাসের মাঝেই অনলাইন থেকে ভালো মানের একটি অর্থ আয় করার সুযোগ পাবেন।
অনলাইনে টাকা কামাতে যা যা মনে রাখতে হবে
অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আপনি একটি কাজ করছেন। তাই যেসময় টুকু আপনি আপনার কাজের পিছনে ব্যয় করবেন সেই সময়টুকু অন্যান্য সকল কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। অর্থাৎ ধরুন আপনি কাজ শুরু করেছেন সে সময় ইউটিউবে ঢুকে কিংবা যে কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুকে আপনি কোন সময় অপচয় করবেন না। আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটবে এবং পরবর্তীতে কাজ করতে মন চাইবে না।
ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম
তাছাড়া আরো মনে রাখতে হবে যে দিনের কাজ দিনে করতে হবে। এবং একটা কথা মনে রাখবেন টাকা কখনো একদিনে কামাই করা সম্ভব নয়। অনলাইনে টাকা কামানোর সহজ অনেক উপায় রয়েছে। কিন্তু আমাদেরকে সেই উপায়গুলোকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করতে হবে একটু ধীরে ধীরে। অর্থাৎ প্রথম মাসে যদি আপনি ১০০০ টাকা ইনকাম করেন তাহলে পরবর্তী মাসে আপনি 10 গুণ অর্থাৎ দশ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। ঠিক একইভাবে আপনি তারপরের মাসে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
আরো পড়ুন: অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট
কিন্তু যদি আপনি একটি সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে চান ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে তাহলে আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রমী এবং কঠিন তীক্ষ্ণ বুদ্ধির হতে হবে। সব সময় ক্রিয়েটিভিটিকে কাজে লাগাতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ে জানেন সে বিষয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন এবং নিজেকে কঠিন বুদ্ধিমান বানানোর জন্য সব রকম চেষ্টা করবেন।
মনে রাখবেন কখনো খেয়েদেয়ে কেউ বুদ্ধিমান হতে পারেনা। বুদ্ধিমান হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় নিজের সাথে নিজেকে চ্যালেঞ্জ দিতে হয়। আমি আমার নিজের একটি ছোট কাহিনী বলছি। আমি ২০২১ সালে ব্লগিং শুরু করেছিলাম কিন্তু সাফল্যের মুখ দেখতে পেরেছি 2023 সালে। কথাটি বলতে অবশ্যই আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। কারণ আমি দুই বছর এতটাই পরিশ্রম করেছিলাম যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
সারাদিন রাত জেগে থেকে শুধুমাত্র কনটেন্ট রাইটিং করতাম অতঃপর সেগুলোর জন্য ইমেজ তৈরি করতাম এরপর সেই ব্লগ পোস্ট করতাম। তারপর যদি এক থেকে দুইটা ভিজিটর এতো তাহলে আমি অনেক খুশি হতাম। কিন্তু সেই এক থেকে দুইটি ভিজিটর আমার ব্লগে আসতেই আমার সময় লেগেছিল। প্রায় কয়েক বছরের কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে আজকে আমি একজন এসইও এক্সপার্ট। এখন যদি আমি একটি ব্লগ আর্টিকেল লিখি তাহলে আগামীকাল গিয়ে সেই আর্টিকেলে শত শত ভিজিট রোড চলে আসবে। কিন্তু একদিনে কেউ কোন কিছু শেখাতে পারে না এটা আপনাকে মনে রাখতে হবে তাহলেই আপনি সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন।
চলুন অনেক কথা বলেছি এখন আমরা অনলাইনে টাকা কামানোর সহজ উপায় ২০২৪ নিয়ে আলোচনা করে ফেলি। কারণ অনেকেই রয়েছে যারা ধৈর্যশালী নয় যেমনটা আগেই বলেছিলাম। তারা যদি যে থাকে এখনই আর্টিকেল থেকে বিদায় নিতে পারে। কারণ ধৈর্যশালী মানুষরা টাকা ইনকাম করতে পারবে এটা আমি বলছি। যদি আপনি ধৈর্যশালী হয়ে থাকেন এবং টাকা ইনকাম করতে না পারেন এক থেকে দুই বছর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন আমি নিজে আপনাকে কাজ দিব।
ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়
আমরা কম বেশি সকলেই ইউটিউব নামক সোশ্যাল মিডিয়াতে দিনের একটি বিশেষ সময় অপচয় করে থাকি। এ সময় আমরা ইউটিউবের মধ্যে কোন না কোন ক্রিয়েটরের ভিডিও দেখি। আপনি যে সকল ভিডিও দেখছেন সেগুলো আপনার আমার মতন কোন একটি মানুষ কিংবা কয়েকজন মিলে তৈরি করা একটি প্রতিষ্ঠান ইউটিউবে আপলোড করছে।
আরো পড়ুন: ইউটিউব মনিটাইজেশনের নতুন নিয়ম
দিনের পর দিন এইসব ভিডিও গুলো দেখার মাধ্যমে আমরা তাদেরকে ইনকামের সুযোগ দিচ্ছি এটাই সত্য। ইউটিউবে বর্তমানে কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারী প্রত্যেকদিন ভিজিট করে থাকে। আর তাদের সামনে যে সকল ভিডিওগুলো আসে তারা নিশ্চয়ই দেখে।
আপনিও চাইলে ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করে সেখানে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন নিয়মিতভাবে। কিন্তু শুরুতে আপনাকে তিন থেকে ছয় মাস নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে তাই ইউটিউবে পাবলিশ করতে হবে। আর তাহলে আপনি অবশ্যই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা ইনকামের সুযোগ পাবেন।
এবং সবচেয়ে ভালো কথা হচ্ছে ইউটিউবে একটি চ্যানেল খোলার জন্য আপনাকে কোন পরিমাণ টাকা ব্যয় করতে হবে না। কোন পরিমান ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করলে আপনি অবশ্যই ইনকামের সুযোগ পাবেন। তাছাড়া বর্তমানে ইউটিউবে বড় ভিডিওর পাশাপাশি শর্ট ভিডিও তৈরি করে ইনকামের সুযোগ রয়েছে। youtube এ শর্ট ভিডিও বর্তমানে মনিটাইজেশন হচ্ছে বলে যে কেউ চাইলে শর্ট ভিডিও তৈরি করে একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে নিয়মিতভাবে ইনকাম করতে পারবে।
এবং ইউটিউবে মনিটাইজেশন পলিসি বর্তমানে আপডেট হয় ১০ মিলিয়ন শর্ট ভিউ এ পরিণত করা হয়েছে। অর্থাৎ আপনার চ্যানেলে যদি এক হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং 10 মিলিয়ন শর্ট ভিজিটর এসে থাকে গত তিন মাসের মধ্যে তাহলে আপনা আপনার চ্যানেলটি থেকে ইনকাম করতে পারবেন। যেহেতু বর্তমানে শর্ট ভিডিওর মধ্যে আমরা বিজ্ঞাপন দেখতে পারছি তাই নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে করে শট ভিডিও থেকে ইনকাম করা যেতে পারে।
যারা জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে বলে দিচ্ছি ইউটিউব থেকে ইনকাম হয়ে থাকে প্রথম অবস্থায় অ্যাড থেকে। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপন আপনার youtube চ্যানেলের মধ্যে দেওয়া হয়ে থাকে এবং সেখান থেকে একজন ক্রিয়েটর ইনকামের সুযোগ পেয়ে থাকে। প্রত্যেক মাসে ১০০ ডলারের বেশি হলে সে 21 তারিখে তার ব্যাংক একাউন্টে অটোমেটিক পেমেন্ট সিস্টেম এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারে। কিন্তু টাকা তোলার জন্য তার অ্যাকাউন্ট হতে হবে পিন ভেরিফাইড। এরকম বিভিন্ন সিস্টেম রয়েছে যেগুলো আপনারা এন বাংলা ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পেয়ে যাবেন। আমরা বিভিন্ন আর্টিকেলের মধ্যে এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি আপনারা ভিজিট করলেই পেয়ে যাবেন।
লেখালেখি করে আয়
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ জন কন্টেন্ট রাইটিং বা লেখালেখির মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারছে। আর এই কার্যক্রম সম্পন্ন হতে পারছে শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। অর্থাৎ ইন্টারনেটে বর্তমান সময়ে অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে। সেজন্য এই সকল ওয়েবসাইটগুলোতে লেখালেখির জন্য রাইটারের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
এবং এ সকল ওয়েবসাইটের মালিক গুলো কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করে থাকে তাদের ওয়েবসাইটে লেখা লিখে জন্য। সুতরাং আপনিও যদি কন্টেন রাইটিং পেরে থাকেন, কিংবা আপনার কনটেন্ট রাইটিং এর স্কিল থেকে থাকে তাহলে আপনি এ সকল ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ করে সহজেই উপার্জনের সুযোগ পেতে পারেন। কিন্তু যেহেতু কনটেন্ট রাইটিং একটি স্কিল তাই আপনাকে অবশ্যই রাইটিং এর স্কিল আগেই ডেভেলপ করতে হবে, তা না হলে আপনি কাজ পাবেন না।
আমাদের ওয়েবসাইটেও আমরা কন্টেন্ট রাইটার মাঝে মাঝেই হায়ার করে থাকি। এবং প্রত্যেকটি কন্টেন্টের জন্য আমরা ৫০ টাকা করে হাদিয়া প্রদান করে থাকি একজন কন্টেন্ট রাইটারকে। এবং কনটেন্টের লেন্থ হতে হয় সর্বনিম্ন এক হাজার শব্দের। এবং কনটেন্ট এর মধ্যে প্রপারলি এসইও এবং ভালোভাবে ইমেজ যুক্ত করতে হয়।
আমরা শুধুমাত্র একদিন বা দুই দিনের জন্য একজন রাইটার হায়ার করিনা। আমরা লাইফ টাইম এর জন্য একজন রাইটারকে হায়ার করে থাকি কারণ আমাদের অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে। প্রত্যেকটিতে কাজ পরিচালনা করা আমার একার পক্ষে সম্ভব হয় না। যার ফলে আমি বেশ কিছু রাইটারকে অলরেডি আমার সাইটগুলোর এক্সেস দিয়ে রেখেছি যারা নিয়মিতভাবে কাজ করে নিজেদের উপার্জনের সুযোগ গড়ে তুলেছে। অর্থাৎ বলতে পারেন আমি কিছু বেকারকে কাজ দিতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ আমার কাছে জিনিসটা অনেক ভালো লাগে।
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম
সবাই জানি বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে মুক্ত পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং বেছে নিচ্ছে অনেকেই। কিছুদিন আগেও অনেকেই এই কাজকে ঘৃণা মনে করলেও বর্তমান সময়ে বড় বড় নিউজ চ্যানেলে বড় বড় ফ্রিল্যান্সারদের ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে। তাই গ্রামের চাচারা বুঝতে পেরেছে ফ্রিল্যান্সিংহ অনেক বড় একটা কাজ।
যদি আপনি কোন একটি ডেডিকেটেড বিষয়ে অধিক জ্ঞান সম্পন্ন হয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই সেই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে আয়ের সুযোগ পাবেন। বর্তমান সময়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, ফটো এডিটিং সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাওয়া কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এই সকল কাজগুলো শিখতে আপনার বেশ সময় লেগে যেতে পারে বটে কিন্তু এই সকল কাজের চাহিদা কখনোই কমে যাবে না বলে আমি মনে করছি।
যার অন্যতম কারণ হচ্ছে ওয়েবসাইট সবাইকেই তৈরি করতে হবে ছবি সবাইকে এডিটিং করাতে হবে এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন সবারই লাগবে। সেই কারণে এই তিনটি কাজের যেকোনো একটি যদি আপনি পারেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমান সময়ে অনলাইন জগতে অধিক পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন অন্যান্য সকল কাজের তুলনায়।
কারণবশত, একটি ওয়েবসাইট যদি আপনি তৈরি করেন সে ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫০০ ডলার চার্জ করতে পারেন। অন্যদিকে যদি একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন করেন তাহলে সর্বনিম্ন ১০০ ডলার চার্জ করতে পারেন। তাই বলা যেতে পারে এই তিনটি কাজ হচ্ছে বর্তমানে সবচাইতে সেরা কাজ। এবং আপনি আমি যে কেউ চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারি।
অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি
অনলাইনে আমরা মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট অর্ডার করে থাকি। কিন্তু অনেক সময় আমরা চিন্তা করি এই সকল প্রোডাক্টগুলো যারা বিক্রয় করছে তারা কিভাবেই বা এই সকল ব্যবসাগুলো করে। কখনো কি এই বিষয়টি চিন্তা করেছেন?
আসলেই তাই অনলাইনে যারা যারা এই সকল প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করে তারা আপনার আমার মতন সাধারণ মানুষ। আপনিও চাইলে তাদের মতন একটি অনলাইন ই-কমার্স ওয়েবসাইট কিংবা ফেসবুক পেজ তৈরি করে নিজের প্রোডাক্ট অনলাইনে বিক্রি করার মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা করতে পারেন। কিন্তু এর জন্য আপনার মাথার মধ্যে থাকতে হবে অনলাইনে ব্যবসা করার মতন জ্ঞান।
যদি আপনি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার থাকতে হবে নিজস্ব একটি প্রোডাক্ট। প্রোডাক্টটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং তারপর সেই প্রোডাক্টটি সম্পর্কে ভালো ভালো মন্তব্য আপনাকে নিয়ে আসতে হবে। এভাবে করে আপনার প্রোডাক্ট অনেক বেশি মানুষ ক্রয় করবে যদি সেটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পারেন। তারপরে আপনি কোটিপতিও হতে পারেন যদি আপনার একটি প্রোডাক্টটি কোটি কোটি টাকার বিক্রয় হয়ে যায়।
আমাদের শেষ কথা
আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মধ্যে আমরা যে সকল অনলাইনে টাকা কামানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি এগুলো অবলম্বন করলে একজন ছোট বাচ্চা থেকে বুড়ো পর্যন্ত যেকেউ ইনকাম করতে পারবে। পূর্বেও বলেছি, এখনো বলছি টাকা ইনকামের জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং নিয়মিতভাবে নিজের কাজ সম্পাদন করতে হবে, এছাড়া আর কোন উপায় নেই। আশা করছি এই সকল উপায় গুলো মেনে চললে আপনি নিশ্চয়ই অনলাইন থেকে ভালো মানের অর্থ আয় করতে পারবেন যদি আপনি নিয়মিত পরিশ্রম করেন।