সহজে সন্তান প্রসবের দোয়া | নরমাল সন্তান প্রসবের দোয়া
সন্তান প্রতিটি নারী ও পুরুষের অতি আকাঙ্ক্ষার নাম। এর জন্য নারীদের বিশেষ ত্যাগের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। গর্ভকালীন সম্পূর্ন ১০ মাস সন্তান পেটে লালন করে প্রসব বেদনা সহ্য করে সন্তান জন্ম দেওয়া যে কতটা কষ্টের সেটা একজন মা ছাড়া কেউ জানে না।
এই কঠিন মুহূর্তে একজন বিশ্বাসী মায়ের সহজে সন্তান প্রসবের দোয়া ও আল্লাহ মালিক ছাড়া সহায়তাকারী থাক নাই। তাই এই আপনাদের জানানো হবে সহজে সন্তান প্রসবের দোয়া সম্পর্কে।
সহজে সন্তান প্রসবের দোয়া
সহজে সন্তান প্রসবের জন্য বেশ কিছু দোয়া ও তসবিহ পাঠ করার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। সেরকমই কিছু তসবি ও দোয়া কালাম নিচে উল্লেখ করা হলো।
দোয়া ইউনূস
যেকোনো বিপদের সময় দোয়া ইউনুস পাঠ করলে সেই বিপদ আল্লাহ তায়ালা সহজ করে দেন। তাই সন্তান প্রসবের সময় অবশ্যই আল্লাহর স্মরণে দোয়া ইউনূস বেশি বেশি পাঠ করবেন।
ইনশাল্লাহ দোয়া ইউনূস পড়ার ফজিলতে আল্লাহ তায়ালা আপনার সন্তান প্রসবকালীন কষ্ট লাঘব করে সহজে সন্তান প্রসবের সাহায্য দান করবেন।
ইস্তেগফার পড়া
ইস্তেখার এমন একটি আমল যা বেশি বেশি পাঠ করার মাধ্যমে দোয়া কবুল হয়, গুনাহ মাফ হয়, রিজিক বাড়ে, এবং বিপদ দূর হয়। তাই সহজ সন্তান প্রসব লাভ করতে চাইলে বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করুন।
আয়াতুল কুরছি
বেশি বেশি আয়াতুল কুরসি এর আমল একটি বড় আমল। বিপদ-আপদের সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা সাহায্য দান করেন।
সহজে সন্তান প্রসবের আমল
উপরে উল্লেখিত সহজে সন্তান প্রসবের দোয়া গুলো পাঠ করার পাশাপাশি ডেলিভারির সময় আসার পূর্বেই যে আমলগুলো করলে সহজে সন্তান প্রসব করা যায় সেগুলো নিজে উল্লেখ করা হলো।
দান সদাকা
দান সদাকা করার মাধ্যমে মানুষের বিপদ-আপদ দূর হয়ে যায় এবং গুনাহ মাফ হয়ে যায়। একটি মায়ের জন্য সন্তান প্রসবের সময় যেহেতু একটি কঠিন সময় তাই এই কঠিন সময় সহজ করার জন্য গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি দান সদাকা করুন।
বেশি বেশি কুরআন তেলোয়াত করা
গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করলে নেককার সন্তান আশা করা যায়। সেই সাথে প্রসবকালীন কঠিন মুহূর্তে আল্লাহ তায়ালা সাহায্য দান করেন।
খারাপ আলম থেকে বেঁচে থাকা
গর্ভাবস্থায় আপনার প্রত্যেকটি কাজের প্রভাব সন্তানের উপর পড়বে। ভালো আমলগুলো যেভাবে আপনার সন্তানকে নেককার বানাতে প্রভাবিত করে তেমনিভাবে খারাপ আমলগুলো প্রভাব আপনার সন্তানের উপর পড়বে।
তাই অবশ্যই গর্ব অবস্থায় যেকোনো ধরনের খারাপ আমল ( গান শোনা, মুভি দেখা, সিরিয়াল দেখা, গীবত করা, ঝগড়া করা, পর্দাহীনতা ) করা থেকে বিরত।