কন্টেন্ট রাইটিং, কন্টেন্ট রাইটিং কি? কিভাবে কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়?
কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা আয় |
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়ের কথা ভাবলেই মনে প্রশ্ন আসে কোন কাজটি শিখে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? বর্তমানে বাংলাদেশের তরুণদের একটি বিশাল অংশ ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আগ্রহী হওয়ারয় প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমাদের অনেকেই দ্বিধায় পরে যাচ্ছি যে কোন ফ্রিল্যান্সিং জবটি শেখা যায় ও ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করা যায়।
আজকেই আর্টিকেল আপনার এই সমস্যার সমাধান দিয়ে আপনাকে এমন একটি ফ্রিল্যান্সিং জব সম্পর্কে জনাব যেটা শিখলে আপনি কম সময়েই ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহের মধ্যে কন্টেন্ট রাইটিং একটি। কন্টেন্ট রাইটিং করে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে অনেকেই মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কে জানব।
কন্টেন্ট কি?
কন্টেন্ট হল কিছু তথ্য ও অভিজ্ঞতার সমষ্টি, যা বিভিন্ন মিডিয়ার সাহায্যে কোনো নিদ্রিষ্ট অডিয়েন্স কে লক্ষ্য করে প্রকাশ করা হয়। কন্টেন্ট বিভিন্ন মিডিয়ায় বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। একটি মেসেজ থেকে শুরু করে একটি নাটক বা চলচিত্রও একটি কনটেন্ট।
একটি লিখিত উপন্যাস বা একটি পুরনো কাব্যগ্রন্থ অথবা একটি অডিও ফাইল এসবই এক একটি কন্টেন্ট। আপনি যে এই পোষ্টটি পরছেন এটিও একটি কন্টেন্ট।
ডিজিটাল কন্টেন্ট কি?
ডিজিটাল কন্টেন্ট হল সেই সব কন্টেন্ট যেগুলো ডিজিটাল মিডিয়ায় বিরাজ করছে। অর্থাৎ আধুনিক মিডিয়ার সব ধরনের কন্টেন্টই ডিজিটাল কন্টেন্ট এর আওতায় পড়ে। একটি ছবি থেকে শুরু করে একটি ইউটিউব ভিডিও বা সিনেমা সবই ডিজিটাল কন্টেন্ট এর মধ্যে পড়ে।
ডিজিটাল কন্টেন্ট
অর্থাৎ আজকের দিনে ইন্টারনেটে আমরা যেসব দেখি সবই ডিজিটাল কন্টেন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। এটা হতে পারে কোনো ভিডিও অথবা কোনো টেক্সট বা কোনো অডিও এসবই এক একটি ডিজিটাল কন্টেন্ট।
এখনই আপনাদের মনে হতে পারে কোনো পিডিএফ বই কোন কন্টেন্ট এর আওতায় পড়বে? সত্যি বলতে এটিও ডিজিটাল কন্টেন্ট হিসেবেই ধরা হবে। কন্টেন্ট বিভিন্ন ফরমেটে থাকতে পারে যেমন: টেক্সট , ছবি অথবা ভিডিও। তবে এই আর্টিকেলে আমি লিখিত কন্টেন্ট বা টেক্সট কন্টেন্ট নিয়ে আলোচনা করব।
আরো পড়ুন: মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়
কন্টেন্ট রাইটিং কি?
আপনি ইতিম্যেই জেনেছেন যে কন্টেন্ট রাইটিং একটি অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং জবস। তবে এই সামান্য পরিচয় দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব নয়। তাহলে কন্টেন্ট রাইটিং কি?
কোনো বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন লেখা, কোনো নিউজ আর্টিকেল লেখা বা কোনো অডিও ফাইলকে টেক্সট আকারে লেখা অথবা কোনো ভিডিও কন্টেন্ট এর গল্প লেখা এসবই কন্টেন্ট রাইটিং।
কিভাবে কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়?
যেকোনো ধরনের কন্টেন্ট তৈরির আগে সর্বপ্রথমে কোন বিষয়ে কন্টেন্ট তৈরি করবেন সেটা নির্ধারন করতে হবে। কেননা আপনি একসাথে সব বিষয়ে কন্টেন্ট বানাতে পারবেন না, যে কোনো একটি বিষয়েই আপনাকে কন্টেন্ট বানাতে হবে। আবার আপনি অপ্রয়োজনীয় কোনো কন্টেন্ট বানিয়েও কারো উপকার করতে পারবেন না। সুতরাং আপনাকে যেকোনো একটি বিষয়ে কন্টেন্ট বানাতে হবে যেটা সম্পর্কে মানুষের বেশ আগ্রহ আছে।
কন্টেন্ট তৈরির বিষয় নির্ধারন করার পড়ে আপনার প্রয়োজন হবে তথ্যের। তথ্য ছাড়া আপনি কোনো ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন না। আপনি দর্শক বা পাঠককে কি জানতে চাচ্ছেন? বা কি শেখাতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য আপনার কাছে থাকতে হবে।
এবার আপনি যে কোনো ধরনের কন্টেন্ট তৈরির জন্য প্রস্তুত। এখন আপনি নিজের ইচ্ছামত ভিডিও বা অডিও অথবা টেক্সট কন্টেন্ট সহজেই বানাতে পারবেন।
কন্টেন্ট রাইটিং করে কিভাবে টাকা আয় করা সম্ভব?
কন্টেন্ট রাইটিং করে আপনি বেশ কয়েকটি কার্যকারী উপায় টাকা আয় করতে পারবেন। প্রথমত আপনি নিজের একটি ব্লগ ওয়েবসাইট বানিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন। ব্লগ ওয়েবসাইটে ভালো ট্রাফিক আসলে এফিলিয়েট মার্কেটিং বা গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয় করাতে পারেন। ব্লগ ওয়েবসাইট কি? কিভাবে ব্লগে কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা আয় করা যায়? সেই বিষয়ে বিস্তারিত আপনি এই পোস্টে পেয়ে যাবেন।
দ্বিতীয়ত আপনি ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে টাকা আয় করতে পারেন। বিশ্বের যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার এর চাহিদা ব্যাপক।
একজন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার এর কাজ কি?
একজন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার এর কাজ হলো বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করা। ধরুন আপনার প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান আছে। এবার আপনি প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে ক্লায়েন্টের এর চাহিদা মোতাবেক আর্টিকেল লিখে দিলে আপনি একজন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার।
মোট কথা একজন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার এর মূল কাজ হল ক্লায়েন্টের চাহিদা মত বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল লিখে দেওয়া। এই আর্টিকেলগুলো বিভিন্ন বিষয়ে হতে পরে, যেমন : হেলথ বা স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, খেলাধুলা, ক্রিপ্টোকারেন্সি, কোনো পণ্য রিভিউ, বিনোদন ও ব্যাবসা-বাণিজ্য সহ আরো অনেক বিষয়ে।
তবে আপনি একাই সব বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে পারবেন না এমনকি আপনাকে লিখতেও হবে না। উপরে উল্লেখিত যে কোনো একটি বিষয়ে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করলেই আপনার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। প্রতিটি বিষয়ে আপনি অনেক পরিমাণে কাজ পেয়ে যাবেন।
কন্টেন্ট রাইটিং এর আরো কাজ সমুহ
কোনো নিদ্রিষ্ট বিষয় ছাড়াও একজন কন্টেন্ট রাইটার আরো কিছু বিষয়ে লেখালেখি করে টাকা আয় করতে পারেন। উদহারন হিসেবে ধরুন আপনি আপনি আরবী ভাষা ভালোভাবে লিখতে ও পড়তে জানেন। আপনি ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষাকে আরবী ভাষায় ট্রান্সলেট করেও মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারেন।
আবার বিভিন্ন ক্লায়েন্ট এক্সপার্ট রাইটাদের বিভিন্ন প্রোডাক্তের ব্যাপারে রিভিউ লিখতে ও সেই প্রডাক্টের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য লিখতে হায়ার করে থাকে। অর্থাৎ কোনো নিদ্রিষ্ট বিষয়ে ।