Advertisement

ব্লগিং কিভাবে শিখব - ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায়

ব্লগিং কিভাবে শিখব - ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায়

বর্তমান সময়ে ব্লগ তৈরি করা এতটাই সোজা যা আপনি আজকের আর্টিকেলটি ভালো করে না পড়লে কখনোই উপলব্ধি করতে পারবেন না। আমাদের সকলের ইচ্ছা থাকে ব্লগিং শিখে অর্থ উপার্জন করার। কিন্তু অনেকেই ব্লগিং কিভাবে শিখব কিংবা ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় সেই সম্পর্কে জানিনা। তবে চিন্তা নেই, এন বাংলা ব্লগের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের সাথে ব্লগিং সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলো তুলে ধরা হবে।

ব্লগিং কিভাবে শিখব? 

ব্লগিং শেখার জন্য বর্তমান সময়ে ইউটিউব হচ্ছে অন্যতম প্লাটফর্ম। ইউটিউবের মধ্যে আপনি অনেক অনেক টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। এ সকল টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমে আপনি ধীরে ধীরে এক থেকে দুই মাস রক্ত করলে সফলভাবে ব্লগিং শিখতে পারবেন। সাধারণত আপনি যদি ব্লগিং করতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কয়েকটি জিনিস শিখতে হবে। 


ব্লগিং করতে হলে কি কি শিখতে হবে

আপনি যদি একজন ব্লগার হতে চান কিংবা প্রফেশনালি ব্লগিং করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কয়েকটি স্কিল খুব ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে। 


১. কন্টেন্ট রাইটিং 

২. গ্রাফিক্স ডিজাইন 

৩. এসইও 

৪. ডিজিটাল মার্কেটিং 

৫. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট 


১. কনটেন্ট রাইটিং 

সাধারণত কনটেন্ট হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ। আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন এবং বেশ কিছু বছর ধরে ব্লগিং করে থাকেন সেক্ষেত্রে বুঝতে পারবেন কোনো ধরনের কনটেন্ট ছাড়া আপনার ওয়েবসাইট কখনোই পরিচালনা সম্ভব নয়। সে কারণে সবার আগে আপনাকে প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে হবে। 


প্রফেশনাল ভাবে কন্টেন্ট রাইটিং শেখার জন্য আমাদের কনটেন্ট রাইটিং কোর্স ক্রয় করতে পারেন। মাত্র ৪,৯৯ টাকায় বাংলা কনটেন্ট রাইটিং শিখে নিতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি শুধু নিজের ওয়েবসাইটে নয় বরঞ্চ বিভিন্ন ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটে বাংলায় কনটেন্ট লিখে আপনি খুব সহজে আয় করতে পারবেন। 


কনটেন্ট রাইটিং এর চাহিদা বর্তমানে বাংলাদেশের কনটেন্ট বাজারে অত্যন্ত বেশি। বলতে গেলে একজন কন্টেন্ট রাইটার প্রতি মাসে 5 থেকে 10 হাজার টাকা প্যাসিভ ইনকাম করতে পারে নিজের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট দেওয়ার পাশাপাশি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, অতিরিক্ত ব্লগার ওয়েবসাইট থাকা। এখন বলতে গেলে সকল ইউটিউবার ইনফ্লুয়েন্সার এবং অন্যান্য সাধারণ মানুষ নিজেদের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরি করছে। 

তবে শুধু ওয়েবসাইট তৈরি করছে ঠিকই কিন্তু কনটেন্ট লিখছে না। কারণ একটি কনটেন্ট তৈরি করতে বিশেষভাবে রিসার্চ, তথ্য সংগ্রহ, এসইও, ছবি যুক্ত এ ধরনের আরো বেশ কিছু কঠিন কাজ করতে হয় যেগুলো করতে প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টার বেশি লেগে যায় একটি কন্টেন্ট বানাতে। তাই কেউ ধৈর্য সহকারে একটি কনটেন্ট লেখার জন্য এত সময় ব্যয় করতে চায় না। 


কিন্তু আপনি চাইলে কন্টেন্ট রাইটিং করে উপার্জন করতে পারেন মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা সহজেই। একটা ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট লিখে মাসিক ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশে যে সকল ব্লগার রয়েছে সেই সকল ব্লগারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনি সরাসরি তাদের সাথে কাজ করতে পারেন। তাছাড়া প্রতিটি কনটেন্ট মিনিমাম ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন। আর ইংরেজি থেকে কন্টেন্ট লিখতে যদি পারেন সেক্ষেত্রে প্রতিটি কনটেন্টের মূল্য মিনিমাম এক হাজার টাকা। 


২. গ্রাফিক্স ডিজাইন 

ব্লগিং করবেন আর গ্রাফিক ডিজাইন জানবেন না তাহলে কেমনে হবে। আসলে একটি ওয়েবসাইটের যেকোনো কনটেন্ট লেখার সময় আপনার বিভিন্ন ধরনের ছবির প্রয়োজন হবে। তবে যে কারোর ছবি আপনি গুগল থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এতে করে সেই ছবিটি যে মালিকের সেই মালিক যেকোনো সময় আপনার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। 


সুতরাং আপনাকে নিজস্ব ছবি তৈরি করতে হবে। আর নিজস্ব ছবি তৈরি করার জন্য সবচাইতে ভাল মাধ্যম হচ্ছে গ্রাফিক্স। আমাদের ওয়েব সাইটের লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমাদের সকল ইমেজ অসাধারণ গ্রাফিক্সের মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে। এগুলো করতে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মিনিট সময় লাগে। 


আপনিও চাইলে এ ধরনের অসাধারণ আইডিয়া বিশিষ্ট গ্রাফিক্স তৈরি করে নিতে পারবেন মোবাইল কিনবা ল্যাপটপ দিয়ে। আর এই কাজটি শিখতে চাইলে আপনাকে একটি কোর্স করতে হবে। কোর্সের মূল্য মাত্র ৪৯৯ টাকা। কোর্স শেষ করার পরে আপনি সহজেই প্রফেশনাল লেভেলের গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারবেন শুধুমাত্র আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। আর যাদের কম্পিউটার রয়েছে তারা তো অবশ্যই কম্পিউটারের মাধ্যমে করবেই। 

৩. এসইও 

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন কিন্তু সেই ওয়েবসাইটের মধ্যে ট্রাফিক কিভাবে আনবেন? অর্থাৎ আপনার সেই ওয়েবসাইটের মধ্যে কারা আপনার আর্টিকেল পড়বে? ইউজার পরবে তাইতো? তবে সেই ইউজারটি পাওয়ার জন্য আপনার এসইও স্কিল সম্পর্কে বেসিক থেকে এডভান্স পর্যন্ত জানতে হবে। কারণ এস ই ও না করলে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুগল কিংবা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন এর মধ্যে রেংক করবে না।

তাই আপনাকে একটি ওয়েবসাইটের কনটেন্ট লেখার সময় বেশ কিছু এসইও ফ্যাক্টর মেনে তারপরে লিখতে হবে। এর জন্য আপনি আমাদের এসইও বেশ একটু এডভান্স কোর্স কিনে নিতে পারেন। সেখানে আমরা বাংলা এর কিংবা ইংরেজি কনটেন্ট লেখার জন্য এসইও মার্কেটিং এর সকল ট্রিকস এবং সকল তথ্য দিয়ে রেখেছি। কোর্সের মূল্য মাত্র ৫০০ টাকা, তাই আশা করছি খুব সহজে কোর্সটি কিনে আপনি খুব সহজে একজন প্রফেশনাল এসইও এক্সপার্ট হতে পারবেন।


৪. ডিজিটাল মার্কেটিং 

ডিজিটাল মার্কেটিং না জানলে আপনার কন্টেন্ট আপনি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন না। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এসইও এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে ভিডিও কনটেন্ট, ছবি, লেখা মার্কেটিং করলে খুবই সহজেই অত্যন্ত বেশি ওয়েবসাইটের মধ্যে নিয়ে আসা যায়। এর ফলে খুব বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন বিজ্ঞাপন কিংবা নিজস্ব সার্ভিস বিক্রয় করে।


৫. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট 

আপনি ব্লগিং করবেন কিন্তু ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে বেসিক আইডিয়া থাকবে না তাহলে চলবে না। ওয়েব ডেভলপমেন্ট শিখতে বলছি না, আপনার শিখার প্রয়োজনও নেই। শুধুমাত্র বেশি কিছু ধারণা আপনার থাকতে হবে। আর এই ধারণাটি আপনি খুব সহজেই ইউটিউব এর মাধ্যমে শিখতে পারবেন। 


আর তাছাড়া কম খরচে কোন ঝামেলা ছাড়াই নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট যদি আপনি বানিয়ে নিতে চান তাও আবার ফ্রি এসইও কোর্স এর সাথে তাহলে আপনার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি নতুন একটি সার্ভিস। আমাদের থেকে আপনি যদি একটি বাংলা ব্লগিং ওয়েবসাইট অর্ডার করেন, তাহলে আপনার জন্য আমরা বেশ কিছু ফ্রি মেটেরিয়াল দিব। তাছাড়া আমরা আপনাকে প্রিমিয়াম থিম, ফটোশপ ফাইল, বিভিন্ন ফ্রি কোর্স ইত্যাদি বেশ কিছু দিয়ে দিব। এগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ব্লগিং করে মাসে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। আর এই সকল বিষয়গুলো পেয়ে যাবেন মাত্র পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে। অর্ডার করতে চাইলে আমাদের সঙ্গে এখনই যোগাযোগ করুন। 

ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায়

ব্লগিং শুরু করার জন্য প্রথমত আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে আপনাকে যেভাবে বলেছি সেভাবে ব্লগিং শিখতে হবে। ব্লগিং শেখার পরে আপনি আমাদের কাছ থেকে একটি বাংলা ব্লগিং ওয়েবসাইট কিনে নিতে পারেন। বাংলা ব্লগিং ওয়েবসাইট কেনার পরে সেখানে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। এরপর যখন আপনার ওয়েবসাইট নিয়মিতভাবে আর্টিকেল প্রকাশের মাধ্যমে একটি ভালো পজিশনে পৌঁছাবে এবং নিয়মিত ১০০ টির বেশি ভিউিটর আসবে তখন গুগল এডসেন্স এপ্লাই করতে পারেন। এবং গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেলে আপনি মাসিক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 


গুগল এডসেন্স ব্যতীত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড প্রমোশন, পেইড কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি বেশ কিছু মাধ্যমে আপনি আরো বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আর একটি ওয়েবসাইট থাকলে মাসিক এমনিতেই ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। 

আমাদের শেষ কথা

আশা করছি আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি ব্লগিং সম্পর্কে সকল আইডিয়া পেয়ে গেছেন। তাই আর দেরি না করে এখনই একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে বাংলা ব্লগিং শুরু করুন। যেকোন বিষয়ে সহযোগিতা লাগলে আমাদের এই আর্টিকেলের কমেন্টে কিংবা আমাদের যোগাযোগ পেজে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া আপনার বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন যাতে তারাও খুব সহজে ব্লগিং শিখতে কিংবা শুরু করতে পারে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now